সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত প্রবীণ নিবাস গত এক বছর আগে উদ্ভোধন হলেও এখনও তা চালু হয়নি। মাগুরা সদর উপজেলার পয়ারী গ্রামে নিমার্ণ করা এই প্রবীণ নিবাসটি প্রফুল্ল প্রতিভা প্রবীণ নিবাস ও এতিমখানা নামেও পরিচিত।
এটি স্থাপন করা হয়েছে মাগুরা জেলা শহর থেকে ১২ কিমি দূরে অবস্থিত ৪০ হাজার বর্গফুটের দুটি পাঁচতলা ভবনে। উদ্বোধনের এক বছরেও চালু না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ভবনটির আসবাবপত্র ও কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। একইসাথে চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
জেলা সমাজ কল্যাণ অফিসের তথ্যমতে, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত ২৮ কোটি ১৯ লাখ ব্যায়ে এটি নিমার্ণ করার পর ২০২৪ সালে উদ্ভোধন করে প্রফুল্ল প্রতিভা নামে একটি ট্রাষ্টকে তা হস্তান্তর করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাগুরা-নড়াইল সড়কের শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের পয়ারী গ্রামে নবগঙ্গা নদীর পাড়ে প্রধান সড়কের পাশে নিমার্ণ করা হয়েছে প্রবীণ নিবাসটি। তবে নেই কোনো কার্যক্রম। কিছু আসবাবপত্র ও কোটি টাকার যন্ত্রপাতি পড়ে আছে রুমে। ভবনের প্রধান গেইটের পাশে কয়েকটি দোকান ঘর করে তা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে ভাড়ার টাকা কোথায় যায় বা কে নেয় সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, প্রবীণ নিবাসটিতে ইতিমধ্যে কিছু জনবলও কাজ করছে। কিন্তু বেতন দেওয়া হচ্ছে না। আনা হয়েছে ফিজিওথেরাপি মেশিনও যা চালু না থাকায় নষ্ট হবার পথে। এছাড়াও আসবাবপত্র রাখা হয়েছে যেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে না। প্রকল্পটি চালু হলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো বলেও জানান তারা। এলাকার বৃদ্ধা ও এতিম শিশুরা তাদের সুযোগ সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছে। উদ্ভোধনের পরেও উন্মুক্ত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা। অথচ এই নিবাসটিকে ঘিরে এক সময় আশা আলো দেখছিলেন স্থানীয়রা।
মাগুরা সমাজসেবা প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল আলম জানান, নিবাসটি চালু করতে ট্রাষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে উদ্বোধনের পর হস্তান্তর করেছি প্রফুল্ল ট্রাষ্টের নিকট। বলা হয়েছে তারা যেনো ঠিকঠাক মত কাজ করে।
এবিষয়ে প্রফুল্ল প্রতিভা ট্রাষ্টের পরিচালক স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, নিবাসটিতে যারা কাজ করছে তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছে। তাদেরকে বেতন দেওয়ার মত অবস্থা তৈরি হয়নি। অদূর ভবিৎষ্যতে আশা রাখি এটি চালু হবে।
উদ্বোধনের এক বছর পার হলেও চালু হয়নি প্রফুল্ল প্রতিভা প্রবীণ নিবাস। বড় অংকের অর্থ খরচ ও বহূতল ভবন নিমার্ণ করেও চালু হয়নি প্রবীণ নিবাস। এতে ক্ষুব্ধ ও হতাশ স্থানীয়রা। আশা নয় প্রবীণ নিবাসের প্রকৃত বাস্তবায়ন দেখতে চায় মাগুরাবাসী।
এসএম