হোবার্টে টসে জিতে আগে বোলিংয়ে নামে রিশাদের দল হোবার্ট। ইনিংসের ৫ম ওভারে বোলিংয়ে আসেন রিশাদ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৬ রান দেন সেই ওভারে। উইকেট পাননি। ৭ম ওভারে আরও কিপটে রিশাদ। দিয়েছেন মাত্র ৪ রান। ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে উইকেটশুন্য রিশাদ।
এরপর আবার ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। সেই ওভারে দিয়েছেন ৮ রান। একটি চার হজম করেছেন। উইকেটের দেখা এবারও পাননি। ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেটশুন্য থাকেন রিশাদ হোসেন। এরপর আর বোলিংয়ে আসেননি তিনি।
সিডনির হয়ে ক্যামেরন ব্যানক্রাফট ৪৪ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া ২৪ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও খেলেন শাদাব খান। শেষ দিকে ড্যানিয়েল সামস খেলেছেন ১১ বলে ২৩ রানের ইনিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে হোবার্টের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিডনি থান্ডার। ১ বলে ৪ রান করে টিকে ছিলেন ক্রিস গ্রিন।
হোবার্টের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বিলি স্টেনলেক। ২ উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান। ১ উইকেট তুলেছেন নাথান এলিস। ৩ ওভারে ১৮ রান দেওয়া রিশাদ কোনো উইকেট পাননি।
জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার মিচেল ওয়েন এবং নিখিল চৌধুরীর ধূমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় হোবার্ট। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রান তুলেছেন দুজন। ওপেনিং জুটিতে চলে আসে ৪৮ রান। ১৪ বলে ৩২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ওয়েন। ৪ ওভারের পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৪৭ রান তোলে হোবার্ট হারিকেন্স।
ওয়েনের বিদায়ের পর নিখিলের সাথে যোগ দিয়েছেন বেন ম্যাকডারমট। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন দুজন। ৩১ বলে ৪১ রান করা নিখিল থেমেছেন দলের ১০৯ রানের মাথাতে। ম্যাকডারমট খেলেন ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। এরপর দলের হাল ধরেন টিম ডেভিড এবং ম্যাথু ওয়েড।
৯ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলে থেমেছেন ডেভিড। ওয়েড টিকে ছিলেন। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে তুলেছেন রান। মাঝে রেহান আহমেদকে ৬ নম্বরে নামালেও লাভ হয়নি তেমন। ৫ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন রেহান।
শেষ দিকে ওয়েডের সাথে যোগ দেন ক্রিস জর্ডান। একটা সময় সমীকরণ চলে আসে ১৫ বলে ১৬ রানে। যে কারণে বেশি ঝুঁকি নেওয়ার দরকার পড়েনি হোবার্টের। রয়েসয়ে এগিয়েছেন জর্ডার এবং ওয়েড। কক্ষপথেই ছিল হোবার্ট হারিকেন্স।
শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান ওয়েড। ১৬ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। ৮ নম্বরে নামেন নাথান এলিস। সেই ওভারে হোবার্ট নিয়ে ফেলে ৯ রান। শেষ ওভারে দরকার মাত্র ৪ রান, স্ট্রাইকে এলিস। শেষ ওভারের প্রথম বলেই নো বল! ম্যাচ জেতা আরও সহজ হয়ে যায় হোবার্টের জন্য। পরের বলে আসে ২ রান, পরের বল ডট। ৪ বলে দরকার ১ রান। স্ট্রাইকে তখনও এলিস। এরপর ২ বল হয়েছে ডট। ২ বলে দরকার ১ রান। পরের বলে ১ রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেল এলিস।
১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পায় হোবার্ট হারিকেন্স। ১৩ বলে ১৬ রান করে ক্রিজে টিকে ছিলেন জর্ডান। ৮ বলে ৫ রান করে টিকে ছিলেন অধিনায়ক নাথান এলিস। সিডনির হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান।