আজ ২০ ডিসেম্বর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিজিবির পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিজিবি বীরত্ব ও ঐতিহ্যের গৌরবমণ্ডিত এক সুশৃঙ্খল আধা-সামরিক বাহিনী।
এ বাহিনী বাংলাদেশের প্রতিরোধ, নারী ও শিশু এবং মাদক পাচার প্রতিরোধসহ অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার পিলখানায় অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এর নাম ছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)। পরে নাম হয় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি বাহিনীর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। মর্মান্তিক ওই ঘটনার পর বাহিনী পুনর্গঠনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। মহান জাতীয় সংসদে ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন, ২০১০ পাশ হয়ে ২০ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। ২৩ জানুয়ারি-২০১১ বাহিনীর সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নতুন পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন এবং মনোগ্রাম উন্মোচনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এ বাহিনীর নতুন পথচলা।
দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও হাদির মৃত্যুর ঘটনায় এদিন সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানমালা স্থগিত করা হয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম যুগান্তরকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস জানায়, বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান রোধ, মাদক ও নারী-শিশু পাচার রোধে বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানেও বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবি সীমান্ত উত্তেজনা ও পুশইন রোধসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এই অঞ্চলের সুদীর্ঘ ইতিহাস ও গৌরবময় ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী।
এইচএ