এইমাত্র
  • রিশাদের জোড়া উইকেটেও জয় পায়নি হোবার্ট
  • চকরিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
  • ভারতের জার্সি পরে খেললেন পাকিস্তানি খেলোয়াড়, সমালোচনার ঝড়
  • পঞ্চগড়ে হোমিও চিকিৎসককে জরিমানা
  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিটের মূল্য প্রকাশ
  • শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
  • কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের ৪ জন গ্রেপ্তার
  • ভোলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষক নিহত
  • বরিশালে মহাসড়কের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
  • মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ইসলামি আন্দোলনের মুফতী আবু বকর
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    নাগরপুরে নীরব সাক্ষী ১০০ বছর পুরোনো একটি লাল তেঁতুল গাছ

    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম

    নাগরপুরে নীরব সাক্ষী ১০০ বছর পুরোনো একটি লাল তেঁতুল গাছ

    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম

    টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের কাজীর–পাচুড়িয়া এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের এক নীরব সাক্ষী প্রায় ১০০ বছর পুরোনো একটি লাল তেঁতুল গাছ।

    হীরা পীরসাহেবের বাড়ির পাশে মোঃ মীনহাজ মাস্টারের বাড়িতে অবস্থিত এই বিরল প্রজাতির গাছটি প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ জায়গাজুড়ে বিস্তৃত হয়ে এলাকাবাসীর দৃষ্টি কাড়ছে। শতবর্ষ পেরিয়ে গেলেও গাছটি এখনো সবুজ, সুস্থ ও দৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়ভাবে পরিমাপ অনুযায়ী, গাছটির শাখা–প্রশাখার বিস্তার প্রায় সাড়ে ৯ ফুট এবং মূল কাণ্ডের পরিধি প্রায় সাড়ে ১১ ফুট। মাটি থেকে গাছটির মোট উচ্চতা আনুমানিক ৫৫ থেকে ৬০ ফুট। বিশাল আকৃতি ও বিস্তৃত ডালপালার কারণে গাছটি দূর থেকেই সহজে চোখে পড়ে, যা এর প্রাকৃতিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

    এলাকাবাসীর মধ্যে প্রচলিত রয়েছে, মোঃ মীনহাজ মাস্টার পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় গিয়ে সেখান থেকে এই লাল তেঁতুল গাছের বীজ বা চারা নিয়ে আসেন এবং নিজ বাড়ির আঙিনায় রোপণ করেন। সময়ের পরিক্রমায় সেই চারাই আজ শতবর্ষী গাছে রূপ নিয়েছে। ফলে গাছটি কেবল একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, বরং ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্থানীয় ঐতিহ্যের সঙ্গেও গভীরভাবে সম্পৃক্ত।

    লাল রঙের তেঁতুল ফলের কারণে গাছটি এলাকায় বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে। ফলের মৌসুমে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই ব্যতিক্রমী তেঁতুল দেখতে ও সংগ্রহ করতে আসেন। গাছটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে নানা স্মৃতি, গল্প ও লোককথা, যা স্থানীয় সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম রাশেদুল হাসান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, “প্রায় ১০০ বছর পুরোনো এই লাল তেঁতুল গাছটি জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের প্রাচীন বৃক্ষ সংরক্ষণ করা জরুরি। যথাযথ পরিচর্যা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ হয়ে থাকবে। প্রয়োজনে কৃষি বিভাগ থেকে কারিগরি সহায়তা দেওয়া যেতে পারে।”

    এলাকাবাসী দাবি, এই শতবর্ষী লাল তেঁতুল গাছটিকে একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক। তাদের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ ও জনসচেতনতার মাধ্যমে এই গাছটি আগামী প্রজন্মের কাছেও নাগরপুরের গর্ব হিসেবে টিকে থাকবে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…